জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ গানের মধ্য দিয়ে গানের ভুবনে পথচলা শুরু জনপ্রিয় এই গায়কের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাকে ফলো করেন সাড়ে তিন লাখ মানুষ। রোববার সকালে, তিনি একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, রাজধানীর হাতিরঝিলে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনার রেশ টানতে তার দুই ছেলে আগে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি লিখেছেন, পুলিশের পোশাকের সম্মান রক্ষায় এই বাহিনীর সকল সদস্যদের উচিৎ আরও সচেতন হওয়া।

নীচে আসিফ আকবরের দেয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো…
আমার বড় ছেলে রণ ড্রাইভিং লাইসেন্স হোল্ডার, একজন সহি রুটিনমাফিক চলা নাগরিক। গাড়ীর সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাক। ট্রাফিক সার্জেন্ট একপর্যায়ে রণ’র সাথে তুই তোকারী ব্যবহার শুরু করলো। রণ’র ইন্জিনিয়ারিং পড়া শেষ। এক্স ক্যাডেট হিসেবে তাঁর ইচ্ছে ছিল আর্মীতে যাবার, বিশেষ কারনে হয়নি। ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে সাপোর্ট পেলোনা ব্যাংকের। দেশেই কিছু করতে চেয়েছিল, ফাইনালি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাষ্টার্স করার জন্য পশ্চিমা কোন দেশে চলে যাবে। ছোট ছেলে রুদ্রও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ট্রাফিক হেনস্তার শিকার হয়েছে। কোন দোষ খুঁজে পায়নি, উল্টো তাঁর বন্ধুদের ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেবার হুমকী দিয়েছে। আজ সকালে শিকার হলাম আমি। হাতিরঝিল মোড়ে একজন গাড়ীর কাগজ দেখতে চাইলে তাকে দেখালাম পুরো ফাইল। সে বললো ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখান। এখন লাইসেন্স কোথায় পাই! আমার মোবাইলে লাইসেন্সের ছবি তোলা আছে। সে মানতে রাজী না। আমি বললাম গাড়ীতে উঠেন বাসা পর্যন্ত যেতেই হবে। সে উঠে বসলো গাড়ীতে, কিছুক্ষন বসে বলে আমার ভূল হয়েছে। নামিয়ে দিলাম রাস্তায়। বলে দিলাম এই দেশে অবৈধ কাজও আমি বৈধ ভাবে করতে চেষ্টা করি ব্রাদার, আপনার এখনকার ধান্দাটা মিসকল হয়ে গেছে। পিছনে অলরেডী গাড়ীর লাইন। তার সহকর্মীরা ব্যস্ত কারওয়ান বাজার থেকে আসা মালবাহী পিকআপ আর ভ্যানওয়ালাদের সাথে ডিলে, তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এ ধরনের ব্যবহারে কষ্ট পাচ্ছে একটা জেনারেশন। ডিউটিরত এসমস্ত ধান্দাবাজ ট্রাফিকদের কাউন্সিলিং দরকার। কাকে কখন কিভাবে সম্মান করে কথা বলা হবে এগুলা শেখাতে হবে তাদের। খামোখা আইন মানা প্রজন্মকে হয়রানী করার ভবিষ্যত পরিনতি ভাল হওয়া উচিত না। উভয়পক্ষের তাৎক্ষনিক কমপ্লেইন গুলো সমাধানের জন্য প্রকৃত ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস চালু করা খুব প্রয়োজন। তাদের পোষাকের সাথে রাষ্ট্রের সম্মান জড়িত। পরিধেয় সরকারী পোশাকটা যেন সম্মানিত থাকে সেই ব্যাপারে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। রাস্তায় অহেতুক অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে ভাল ডিউটিফুল অফিসারও আমরা পাই। জনতার কর্মচারীর অত্যাচারী হওয়া উচিত নয়, জনতারও উচিত নয় রাষ্ট্রের আইনের বিপক্ষে যাওয়া। পোশাক আর হয়রানী মুখোমুখি না হওয়াটাই সবচেয়ে ভাল পন্থা। বেতনভূক্ত দায়িত্বশীলদের ভাল ব্যবহারের বিকল্প নেই, প্রকল্প আছে… ভালবাসা অবিরাম…

কেমন লাগছে আনন্দ সময়? পড়ুন, মন্তব্য জানান। ধন্যবাদ।