চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন ২ শতাধিক। এদিকে বিস্ফোরণে ৭ জন শিল্প পুলিশ এবং ২ জন সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনেরও ৯ কর্মী আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগুন লাগার খবরে প্রথমে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে কুমিরা স্টেশনের সদস্যরা। সেখানে বিস্ফোরণের ফলে ৯ জন আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিস্ফোরণে সীতাকুণ্ড থানার কনস্টেবল তুহিনের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাসায়নিকের কনটেইনারে বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের কাছে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুনের খবর পাওয়া যায়। প্রথমে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২৪ টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয়রা সহায়তা করছে।
রাসায়নিক কনটেইনারে বিস্ফোরণের কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান তিনি।