বড় ছেলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজাসহ যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ
বহুল আলোচিত চিনি দুর্নীতি ও অর্থ পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে বর্তমান পাকিস্তানের প্রভাবশালী এই দু'জন রাজনীতিবিদকে। এঘটনা পাকিস্তানের দোদুল্যমান রাজনীতিতে কালোমেঘের ছায়া নিয়ে আসতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবারো সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। বহুল আলোচিত চিনি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং তার বড় ছেলে হামজা শরীফ। যিনি বর্তমানে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির (এফআইএ) কর্মকর্তারা এ আশা প্রকাশ করেছেন।
মাসখানেক আগে নাটকীয় পটপরিবর্তনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান শাহবাজ শরীফ
শনিবার (৪ জুন) মামলার শুনানিতে বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ানের কাছে এ আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি। এরপরই আদালত এই আদেশ জারি করেন।
এদিকে, আদালত শাহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদ বাড়ালেও মামলার অন্যতম আসামি শাহবাজের ছোট ছেলে সুলেমান শাহবাজসহ অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গ্রেফতার হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বড় ছেলে পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী হামজা শরীফ
মামলার অভিযোগে বলা আছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে আখ ক্রয়, চিনি উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি রুপি লোপাট করেছেন শাহবাজ শরিফ, তার দুই ছেলে ও এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে সর্বমোট এক হাজার ৬০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ২০২০ সালে লাহোরের বিশেষ আদালতে মামলা করে এফআইএ।
শাহবাজ শরিফ অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে পাকিস্তানে রাজনীতি ও নির্বাচন করার যোগ্যতা হারাবেন তিনি।
গত ১০ এপ্রিল দেশের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ইমরান খান। পার্লামেন্টের সদস্যপদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি ও তার দলের সদস্যরা। এরপর থেকেই নতুন নির্বাচন ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি।
তাকে ক্ষমতাচ্যুতির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ছিল বলে সে সময় থেকে অভিযোগ করে আসছেন তিনি। এমনকি বিদেশি ষড়যন্ত্রে শেহবাজ শরিফ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জড়িত ছিল বলেও দাবি করেছিলেন ইমরান। এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যাবে পাকিস্তান। তার এমন মন্তব্যের পর দেশটিতে এখন চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।