মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া আহত বেশ কয়েকজনতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ ও শেষ হাসিনা বার্ন ইন্সটিউটে পাঠানো হয়েছে।

আগুনের ভয়াবহতা এতোটাই তীব্র যে আশেপাশের এলাকার ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের বহু ইউনিট কাজ করছে। তবে এখনো পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অন্তঃত ৩০ জন কর্মী আহত এবং দগ্ধ হয়েছেন। এরইমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী মারা গেছেন। এছাড়া একজন পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্নসহ অন্তত নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণ হচ্ছে তাতে আমাদের পক্ষে ভেতরে থাকা সম্ভব হয়নি। এ কারণে ডিপোর মেইন গেটে চলে এসেছি আমরা।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে বা কতক্ষণ পরে ফের আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারবেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তাই প্রথম চিন্তা। যেভাবে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছিলো তাতে ভেতরে থাকা সম্ভব ছিল না। আগুন কতক্ষণে নেভাতে পারবো, এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়।

এদিকে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডই ছিল মূলত এসব কনটেইনারে। যা অ্যাভিয়েশন শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ চাপে এই রাসায়নিক বোতলজাত করা হয়ে থাকে। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি ছিল। তবে প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি। এমন রাসায়নিকের আগুন নেভাতে হয় ফগ সিস্টেমে। আমরা এই পদ্ধতিতে এবং ফোমের মাধ্যমে এখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।’
এদিকে এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। প্রথম বিস্ফোরণ হওয়া কনটেইনারটি ভস্মীভূত হয়ে আগুন নিভেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪ টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে।