খোস্ত প্রদেশে ঘটা ৬ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূকম্পনে ব্যপক ক্ষতির শিকার হয়েছে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতোটাই ভয়াবহ যে ভূমিধস ও ঘর–বাড়িও বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে, এখনো পযর্ন্ত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসেব পাওয়া যায়নি। এমনকি দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের হতাহতের তালিকা না পাওয়ায় এ সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমকে ভূমিকম্পে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানিয়েছেন পাকতিকা প্রদেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিন হাজিফি।
এদিকে, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে কী পরিমাণ মানুষ হতাহত হয়েছেন তার প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আইয়ুবি। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে মৃতের সংখ্যা হয়তো ২ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এরইমধ্যে দুর্গম ও বিদ্ধস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজে যুক্ত করা হয়েছে হেলিকপ্টার সেবা। এছাড়া, ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসামগ্রী ও খাবার পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় ২২ জুন, বুধবার ভোরে এই ভুকম্পনের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা, ইউএসজিসি। ভুমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের খোস্তের রাজধানী শহর খোস্ত থেকে আনুমানিক ৪৪ কিলোমিটার দূরে।এদিকে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির নানান চিত্র ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে। এছাড়াও, ভূমিকম্পে সৃষ্ট ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর ও স্ট্রেচারে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় আফগান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে।