শুধু ভারত-পাকিস্তান নয় বিশ্ব ক্রীড়া অঙ্গনের সবচেয়ে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় সেলিব্রিটি দম্পতি মনে করা হয় সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিককে।দুই দেশের মধ্যে যত বৈরিতার সম্পর্কই থাকুক না কেন উভয় দেশের মিডিয়া এবং ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই তারকা দম্পতি।
প্রতি মুহূর্তে তাদের নিয়ে নানা কৌতূহল, জল্পনা-কল্পনায় সরগরম থাকতো মিডিয়া পাড়া । তারা কি করছে ,কোথায় যাচ্ছে,কোথায় থাকছে, তাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন যাচ্ছে এসব নানা প্রশ্ন গত কয়েকদিন থেকে ভক্তদের আলোচনায় ঘুরে ফিরে বার বার আসছিলো ।
যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা নেতিবাচক খবর নানান সময় মিডিয়া ও ভক্তদের সামনে এলেও সে সব কিছুই গুঞ্জন হিসাবে শোনা গিয়েছিল এতদিন । তবে এবার ভক্তদের জন্য চরম হতাশার খবর সামনে এল, বের হয়ে এল ঘর ভাঙার খবর ।তুমুল জনপ্রিয় এ দম্পতি সত্যি সত্যি বিচ্ছদের পথ বেছে নিয়েছেন ।
ভারত-পাকিস্থান এর বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, বর্তমানে এই তারকা জুটি আর একসঙ্গে থাকেন না, আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকছেন দুজনে । যদিও দুজনেই সন্তানের প্রতি তাদের দায়িত্ব সমান ভাবে পালন করে যাচ্ছেন তবে এটা জানা যায় নি তাদের সন্তান এখন কার তত্ত্বাবধানে রয়েছে ।
সম্প্রতি এ দম্পতি তাদের একমাত্র ছেলে ইজহান মির্জা মালিকের জন্মদিন পালন করেন । জন্মদিনের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন শোয়েব মালিক। সেইসব ছবি শেয়ার করার সময় কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশন লিখেন শোয়েব । ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, “যখন তুমি জন্মেছিলে, তখন আমরা অনেক বেশি নম্র হতে পেরেছিলাম। জীবন সত্যিকারের কোনো অর্থ খুঁজে পেয়েছিল যেন! আমরা একসঙ্গে নাও থাকতে পারি। প্রতিদিন সাক্ষাৎ নাও হতে পারে। তবে বাবা তোমার কথা সবসময় খেয়াল করে। প্রতি সেকেন্ডে তোমার হাসি মনে পড়ে যায় বাবার। তোমার সব ইচ্ছা যেন আল্লাহ পূরণ করেন।’
সানিয়া মির্জার ইনস্টাগ্রামের পোস্টেগুলো ছিল ঠিক তেমনি ইঙ্গিতপূর্ণ ।কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছেন তিনি এমনটাই বার বার বলতেন। সম্প্রতি তিনি তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট এ লেখেন ‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? স্রষ্টা খুঁজতে! ’
তাদের দুজনের এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কে কেন্দ্র করেই অনুসন্ধান শুরু হয় ।আর এ অনুসন্ধান থেকে বের হয়ে আসে তাদের বিচ্ছেদের খবর । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শোয়েবের ম্যানেজমেন্ট দলের একজন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ তারা এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই ডিভোর্সড। আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে আমি নিশ্চিত করে বলছি , তারা আলাদা হয়ে গেছে।’
ডিভোর্সের কারন হিসাবে শোয়েবের “পরকিয়া” কে মূলত দায়ী করা হচ্ছে ।প্রসঙ্গত ‘শোয়েবের সঙ্গে দুই নারীর সম্পর্ক রয়েছে ’ এমন একটি খবর কয়েকদিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলতে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছিল। এই দুই জনের একজন ছিল পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা ওমর।একটি ম্যাগাজিনের ফটোশুটে কাজ করেত গিয়ে পরিচয় হয় তাদের । সময়টা ছিল ২০২১ সাল । সেই সময় থেকেই গুঞ্জন শোনা যায় তাদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে । এ ছাড়াও অন্য এক পাক অভিনেত্রীর সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই পাক ক্রিকেটার যদিও সেই অভিনেত্রী কে তা জানা যায়নি ।