কঠিন এক সমীকরণে দাঁড়িয়ে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে সুইসদের হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ১৬ নিশ্চিত করল ২০২২ এর বিশ্বকাপ আসরের অন্যতম শিরোপার দাবীদার এই দলটি।
২৮ নভেম্বর সোমবারের সবচাইতে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ ছিল রাত ১০ টায় অনুষ্ঠিত হওয়া ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল ব্রাজিল দল। যদিও ব্রাজিলের তারকা খেলোয়াড় নেইমার ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারবে না তারপরও জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিল তারকাসমৃদ্ধ এই দলটি।ম্যাচ শুরুর আগেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিলো দুইদলের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে, আর হয়েছিলও তাই।ব্রাজিল কে বেশ কষ্ট করেই এ জয় অর্জন করতে হয়েছে সুইসদের বিপক্ষে।
২৮ নভেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪ খেলতে নামে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড।ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য।৫৮ শতাংশ সময় পর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি সেলেসাওরা।ম্যাচের ১৯ মিনিটে বাম পাশ থেকে দুর্দান্ত ক্রস দেন ব্রাজিলীয় তারকা পাকুয়েতা। কিন্তু সেই বল পায়ে লাগিয়ে জালে জড়াতে পারেনি গত ম্যাচে জয়ের নায়ক ব্রাজিলিয়ান তারকা রিচালিসন।
২৭তম মিনিটে আবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। ডানদিক থেকে ক্রসে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বল বাড়িয়ে দেন রাফিনহা। ভিনিসিয়ুস বলকে গোলপোস্টের দিকে পাঠালেও সুইস গোলরক্ষক সোমার কর্নার এর বিনিময়ে ধরে ফেলেন বলটি।
প্রথমার্ধের বিরতির পর খেলতে নেমে আক্রমনের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় ব্রাজিলিয়ানরা।কিন্তু তাদের সেই আক্রমনগুলোকে বেশ দক্ষতার সাথে রুখে দিচ্ছিল সুইসরা।এরপর ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে ব্রাজিলের সামনে আসে সেই কাঙ্খিত শুভ সময়টি। রোদ্রিগোর পাসে জয়সূচক গোলটি করেন ব্রজিলিয়ান ডিফেন্ডার কাসেমিরো।এরপর ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রোদ্রিগা বেশ কয়েকবার গোলের সহজ সুযোগ মিস করায় ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল।
ইনজুরির কারণে নেইমার খেলতে পারেননি, ছিলেন না ডিফেন্ডার দানিলোও। নেইমারহীন ব্রাজিল কেমন করে সেটাই দেখার বিষয় ছিল কালকের ম্যাচে। এইদিকে সুইসদের বিপক্ষে অতীত ইতিহাস তেমন ভালো ছিল না সেলেসাওদের। ফিফা বিশ্বকাপ আসরে এই পর্যন্ত দুইবার দেখা হয় সুইজারল্যান্ড ও ব্রাজিলের। আর দুইবারই ড্র করে মাঠ ছাড়ে তারা। তাই খানিকটা কঠিন সমীকরণেই ছিল ব্রাজিল।
এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট ৩। ক্যামেরুন ও সার্বিয়া পয়েন্ট ১ করে।