গত ২০ নভেম্বর মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতারে শুরু হয়ে গেছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দা আর্ত’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর।শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু নিয়ে মরুর দেশ কাতারে আসে বিভিন্ন মহাদেশের শিরোপা প্রত্যাশী দেশগুলো। ২০ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের খেলার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই আসর একে একে শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্বের লড়াই।
গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপদের নিয়ে এবার অনুষ্ঠিত হবে শেষ ১৬ লড়াই। আজ ৩ ডিসেম্বের শনিবার ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে “মারো, না হয় মরো” এই মন্ত্রে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউণ্ডের জমজমাট লড়াই। নক আউট পর্বের এ লড়াইয়েত আজ রাত ১ টায় কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে এবারের আসরের অন্যতম শিরোপার দাবীদার আর্জেন্টিনা।
টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে আসে আর্জেন্টাইনরা।কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে এবারের বিশ্বকাপ আসরের সব চাইতে বড় অঘটনের জন্ম দেয় তারা।ওই হারের ফলে বিশ্বকাপে টিকে থাকতে গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মত চাপ নিয়ে খেলতে হয়েছে মেসি- ডি মারিয়াদের। মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে অনেকটা ভালো অবস্থানে নিয়ে আসলেও শক্তিশালী পোল্যান্ডের বিপক্ষে এক অলিখিত ফাইনালে মাঠে নামে তারা।তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পোলিশদের ২-০ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলে আলবিসেলেস্তরা।
নকআউটে সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ফাইনালের মত চাপ নিয়ে।তবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচে ফাইনালের মত চাপ নিয়ে খেলা আর্জেন্টাইনদের কাছে এ আর নতুন কোন কিছু নয়। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার শুরু আর শেষের দৃশ্যপট যেন দুই মেরুতে। পোল্যান্ড ম্যাচের জয় ছন্দে ফিরিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। করেছে ব্যপক আত্মবিশ্বাসী।তাই আজ পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নি্য়ে নকআউট শুরু করতে যাচ্ছে ৭৮ আর ৮৬’র চ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনা দলে মোটামুটি সবাই ছন্দে রয়েছে।তবে ঝামেলা হতে পারে বিশ্বকাপে টানা ম্যাচ খেলার ধকল। একাদশ মোটামুটি সেট হলেও দুশ্চিন্তা আছে টানা খেলার ধকল নিয়ে। মাত্র দুদিনের বিরতি দিয়ে দুটো কঠিন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে আর্জেন্টিনার।তবে আর্জেন্টিনার মতো একই অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। অল্প সময়ে টানা খেলার ধকল আছে তাদেরও।
অতীত ইতিহাস বলছে, ফুটবলে এই দুদল মুখোমুখি হয়েছে মোটে ৭ বার। যেখানে আলবিসেলেস্তেদের ৫ জয়ের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার জয় এক ম্যাচে। বাকি একটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। অতীত ইতিহাস জাই হোক না কেন সকারুজদের মোটেই হালকা ভাবে নেয়নি আর্জেন্টিনা। পূর্ণ শক্তির একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে তারা।
অতীত পরিসংখ্যান এর ফলাফল আর বর্তমান আর্জেন্টিনা দলের আত্মবিশ্বাস দেখে আজ ভক্তরা আশা করতেই পারে ৯ ডিসেম্বর কোয়াটার ফাইনালে আবার মাঠ মাতাবে আলবিসেলেস্তরা।