পবিত্র ওমরাহ পালন করতে বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করেছেন সাবেক আমেরিকান বক্সার মাইক টাইসন ও বিখ্যাত সঙ্গীত প্রযোজক খালিদ মুহাম্মদ ওরফে ডিজে খালিদ।
গত ১০ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ছবিতে ইহরামের কাপড় পরা অবস্থায় তাদেরকে পবিত্র কাবা ঘরের সামনে নামাজ পড়তে দেখা যায়। শনিবার মক্কায় ওমরাহ পালন কালে তাদের তোলা এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
সৌদেসংবাদ মাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা যায়, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ডিজে খালিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রা্মে এক পোস্টে ওমরাহ পালনের একটি ভিডিও শেয়ার করেন।এ সময় তাঁর সঙ্গে দেখা যায় সাবেক আমেরিকান বক্সার মাইক টাইসন ও তাঁর বাবা।ভিডিওতে তাঁদেরকে পবিত্র কাবা ঘরের সামনে ওমরাহ পালন করতে দেখা যায়।
পবিত্র ওমরাহ পালনের শেষে অনুভূতি জানিয়ে ইনস্টাগ্রামের পোস্টে খালিদ লিখেছেন, ‘মক্কায় এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতএসেছি।আমার দুচোখ বেয়ে ঝরে পড়ছে আনন্দের অশ্রু। আমার সারা জীবনের আশা ছিল আমি মক্কায় গিয়ে নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। আমার আশা পূরণ হয়েছে।আজ মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তিনি আমাদের আশা পূরণ করেছেন। আমি সবার জন্য ভালোবাসা, আনন্দ ও শান্তিপূর্ণ জীবন এবং সৌভাগ্যে ভরপুর সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছি। আল্লাহ মহান।’
এর আগে মক্কায় আসার পথে তিনি আরও একটা পোস্ট করে লিখেন, ‘আমরা মক্কার পথে রয়েছি। আল্লাহ আমাদের কল্যাণ করুন। ’
উল্লেখ্য মাইক টাইসন আমেরিকান বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ বক্সার। মাত্র ২০ বছর চার মাস বয়সে বিশ্ব হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বক্সার হিসেবে রেকর্ড গড়েন তিনি। ১৯৯২ সালে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন তিনি। ইন্ডিয়ানা ঐ কারাগারে থাকা অবস্থায় নিজ জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন স্টিল মাইক খ্যাত এই তরুণ।এই সময়ে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার জানার সুযোগ হয় এবং ইসলামের প্রতি অনুরুক্ত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।ইসলাম গ্রহণের পর নিজের নতুন নাম রাখেন মালিক আবদুল আজিজ।
আরও পড়ুনঃপবিত্র কাবা ঘরের ১৩৪ বছর বয়সী নিয়মিত মুসল্লির ইন্তেকাল
ইসলাম গ্রহন প্রসঙ্গে টাইসন বলেছেন, ‘কারাগার আমার বিভ্রান্তি দূর করেছে। আমাকে ইসলামের মানবিক শিক্ষা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। এরপর আমি নতুন জীবনের সন্ধান লাভ করি। ইসলাম আমাকে ধৈর্য ধারণ এবং করুনা ও উদার হতে শিক্ষা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। জীভনে কঠিন মুহূর্তগুলোতে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে। ’