বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
আজ ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমিশনার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, “জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে ১৩ ডিসেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরার তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি।তাকে গ্রেফতার ও অন্যান্য বিষয়ে পরে বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে।“
জামায়েতের আমিরকে গ্রেফতার এর বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন,”সোমবার রাতে জামায়াত নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।“ তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এ বিষয়ে পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ১৩ ডিসেম্বর এক বিবৃতি দিয়েছেন।বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে উত্তরার তাঁর নিজ বাসা থেকে সাদা পোশাকের একটি দল আটক করে নিয়ে যায়।কী অভিযোগ বা কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি পুলিশ।আমরা এ অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে ঘোষণা দেয়া যুগপৎ আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত।আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা দাবিতে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় দলটি।
আরও পড়ুনঃ ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৪০ জন আটক
উল্লেখ্য তিন বছর আগে ডা. শফিকুর রহমান জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের আমির হিসেবে শপথ নেন।এরপর ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য ডা. শফিকুর রহমান আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন।
ডাঃ শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।পড়াশুনায় থাকাকালীন অবস্থায় তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সক্রিয় ছিলেন।তিনি ছাত্রশিবির সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমির ডাঃ শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।বর্তমানে সে কারাগারে পুলিশের হেফাজতে আছে।