অবশেষে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। যোগ্য কাউকে খুঁজে পেলেই সড়ে দাঁড়াবেন তিনি।
গতকাল ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
টুইটারে দেয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘এই চাকরি নেয়ার মতো বোকা কাউকে খুঁজে পাওয়া মাত্রই আমি সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করব। এরপর আমি শুধু সফটওয়্যার ও সার্ভার টিম চালাব।’
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর সোমবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোল চালু করেছিলেন ইলন মাস্ক। সেখানে তিনি তার ১২ কোঠি ২০ লাখ অনুসারীর মতামত জানতে চাওয়ার লক্ষ্যে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমার কি টুইটার প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত?’ ফলাফল যা-ই হোক না কেন, আমি মেনে নেব।’
২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সময়ে ইলন মাস্কের করা ওই পোলে ১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ ভোট দেন। যার মধ্যে ৫৭ শতাংশ ব্যবহারকারী মতামত হিসেবে ইলন মাস্কের টুইটারের প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন। বাকি ৪৩ শতাংশ তাকে থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। উল্লেখ্য ১২ কোটি ২০ লাখ ফলোয়ারের মধ্যে জরিপে অংশ নেয় এক কোটি তিন লাখ ব্যবহারকারী।
আরও পড়ুন: আজ ১০০ মহাসড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পোল শেয়ারের ফলাফলের পরপরই আরেকটি টুইট শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কথায় আছে কোনো কিছু চাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন। কারণ, আপনি যা চান তা পেলেও পেতে পারেন।’
তার এই টুইটের পর থেকেই অনেকেই ধারণা করছিলেন ইলন মাস্ক হয়তো এরই মধ্যে টুইটারের জন্য নতুন প্রধান নির্বাহী বাছাই করে ফেলেছেন। তবে সব জল্পনা-কল্পনা অবসান করে এবার নিজেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন মাস্ক।
উল্লেখ্য চলতি বছরের এপ্রিলে ইলন মাস্কের টুইটারযাত্রা শুরু হয়। টুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার কিনে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারীতে পরিণত হন এই প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। সাত কোটি ৩৫ লাখ শেয়ার কিনতে তিনি খরচ করেছিলেন ৩০০ কোটি ডলার।তবে বিনিয়োগকারী হিসাবে টুইটারে যুক্ত হলেও শেষ পর্যন্ত গত আগস্টে টুইটারের পুরো মালিকানা চার হাজার ৩৪০ কোটি ডলারের বিশাল অঙ্কে কিনে তিনি।টুইটারের মালিক হওয়ার পরই খরচ বাঁচাতে কয়েক দফা গণছাঁটাইয়ে যান মাস্ক। প্রধান নির্বাহী ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়াল থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত চাকরি হারিয়েছেন কয়েক হাজার কর্মী।