বিশ্বকুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে মৃত জাওয়াহিরিরি প্রকাশিত ভিডিও বার্তাটি ছিল ৩৫ মিনিটের।
গতকাল ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার চরমপন্থিদের অনলাইন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী বেসরকারি মার্কিন সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদন এ খবর প্রকাশ করে।
অথচ যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে ঘোষণা দিয়েছিল সেই বছর আগস্টে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এক হামলায় তালেবান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়েছে।এই ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর আবারো নতুন করে আলোচনায় এলো সত্যি কি মার্কিন হামলায় জাওয়াহিরিরি মৃত্যু হয়েছিল??
যদিও আল-কায়েদা তাদের প্রকাশ করা ভিডিওটিতে আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে জীবিত দাবি করলেও সেই বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ তারা হাজির করতে পারেনি। কারণ ভিডিওটিতে কোনো দিন-তারিখ দেয়া নেই। কবে,কখন কোথায় ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে সে বিষয়েও কোনো তথ্য ভিডিও থেকে পাওয়া যায়নি।হতে পারে ভিডিওটি জাওয়াহিরির মৃত্যুর আগে ধারন করা হয়েছিল।
এর আগে, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটবাদে মার্কিন বাহিনীর গোপন এক হামলায় আল-কায়েদার প্রধান নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। বিন লাদেনের মৃত্যুর পর জাওয়াহিরিকেই আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা বলে গণ্য করা হতো। তবে তিনি কখনো প্রকাশ্যে আসতেন না বললেই চলে।লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে তিনি এই সংগঠন পরিচালনা করতেন। অবশেষে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে এক গোপন হামলায় জাওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
জাওয়াহিরিকে হত্যার বিষয়ে তখনকার এক জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘জাওয়াহিরি দীর্ঘ দিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন।কিন্তু আমারা তাকে খুঁজে বের করে হত্যা করেছি আর এটা সম্ভব হয়েছে কাউন্টার টেররিজম এবং গোয়েন্দাদের দীর্ঘদিনের ধৈর্য ধরে লেগে থেকে কাজ করে যাওয়ার মাধ্যমে।’
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র জাওয়াহিরির মৃত্যুর ঘোষণা দিলেও আল-কায়েদা এই বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে তারা তাদের সগঠনের নতুন নেতার নামও ঘোষণা করেনি। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা অনুযায়ী মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক সদস্য এবং আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা সাইফ আল-আদেল গোষ্ঠীটির পরবর্তী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।কারন জাওয়াহিরির পর তিনিই ছিলেন আল কায়েদার গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং শীর্ষস্থানের অন্যতম দাবিদার।