মায়ের সম্পত্তি পরিদর্শনে আজ খুলনা যাবেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দশমবারের মত সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে এখন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ৬ জানুরারি শুক্রবার বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সড়কপথে  টুঙ্গিপাড়া যান প্রধানমন্ত্রী।সকাল ৮টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়ে ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছান।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আজকের কর্মসূচি সম্পর্কে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন তিনি।

পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে আজ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছার নামে কেনা সম্পত্তি পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুপুর ২টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে  সড়কপথে খুলনার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী খুলনার রূপসা সেতু হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় পৌঁছে তার মায়ের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন।

আরও পড়ুন:রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ৪৭ জন আটক

সংবাদ সুত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পূর্বে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে খুলনা জেলার দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক বা প্রায় ৪ বিঘা জমি পাট গোডাউন ও এক কক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ ক্রয় করেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জমির কথা কিছুই জানতেন না। অবশেষে ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান।এখন বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউস। গোডাউন সংলগ্ন এলাকায় পাকা রাস্তা তৈরি করে তার নামকরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই শেখ রাসেলের নামে।খুলনা থেকে সড়ক পথে আবার টুঙ্গিপাড়া ফিরে সেখান প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা রাতযাপন করবেন।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় ঝটিকা সফরকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।

উল্লেখ্য গত ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর শেষবারের মত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন চতুর্থবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি।