ভারতের রাজধানীতে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে ধর্ষকের মাকে গুলি করে আহত করেছে এক কিশোরী।
গতকাল ৭ জানুয়ারি শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ভজনপুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুলিতে গুরুতর আহত সেই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।অন্যদিকে পুলিশ ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকেও গ্রেফতার করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে পুলিশ জানিয়ছে,গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভজনপুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কিশোরী ৫০ বছর বয়সী ওই নারীকে একটি বন্দুকের সাহায্যে গুলি করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে রেকর্ড পরিমান টাকা উত্তোলন
গুলি করার কারন সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে,গুলিতে আহত ওই নারীর কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে ওই অভিযুক্ত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। গত দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালে ওই কিশোর কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল।সেই ঘটনার কোন বিচার হয়নি। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পুলিশ অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেনি। ২০২১ সালের ঘটনায় মনে মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছিল কিশোরী। শনিবার সেই ক্ষোভের বশেই গুলি চালিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আহত ওই নারী এবং তার ছেলে দিল্লির ভজনপুরা এলাকায় থাকতো এবং সেখানে একটি মুদি দোকান চালাত। শনিবার বিকেলে দোকানের সামনে হঠাৎ গুলি চলে। তার পর দেখা যায় গুলির আঘাতে জখম হয়েছেন দোকানের মালিক ওই নারী।গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে স্থানীয় জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে কিশোরী কেন অভিযুক্তের মাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল, অন্য কাউকে মারা তার উদ্দেশ্য ছিল কি না, কোথা থেকে সে পিস্তল জোগাড় করল, এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারো হাত রয়েছে কি না, সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।