লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ১৭ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় মাহবুব আলম শিপুল নামে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী কিশোরী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরফলকন গ্রামের বাসিন্দা।কমলনগরের বাসিন্দা হলেও তারা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। ভুক্তভোগী মেয়েটির শৈশবে তার বাবা মারা যায়। বাবা মারা গেলে তার মাও তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই থেকে চাচা-চাচীর কাছে বড় হয় জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী মেয়েটি। সে কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। অভিযুক্ত শিপুলও একই এলাকায় বসবাস করে। সেই সূত্রে রাস্তাঘাটে দেখলে ইশারায় শিপুল তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও খারাপ কাজের ইঙ্গিত করতো। তাতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নসময় তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
কিন্তু এক পর্যায়ে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিপুল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ৪ মাস ধরে প্রতিবন্ধী মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে সে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।গত ৫ ডিসেম্বর সকালে কিশোরীর চাচা-চাচী কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে এই সুযোগে ঘরে ঢোকে শিপুল। এসময় কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় শিপুল। তখন জরুরি কাজে ভুক্তভোগীর চাচী বাসায় ফিরে আসে। এসে তিনি ঘটনাটি দেখে চিৎকার করলে শিপুল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃপ্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত গ্রেফতার।
ঐ ঘটনার দিন বিকেলে ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় শিপুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের পুরাতন ডায়াবেটিস হাসপাতাল এলাকা থেকে শিপুলকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে শিপুল স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। যদিও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, বাক প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী কিশোরীকে ইশারায় স্বর্ণালংকার দেওয়া ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়তে পারেনঃডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২৯ জন
এদিকে অভিযুক্ত শিপুলের ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেছেন, ঘটনাটি লোকজন আমাকে জানিয়েছে। কমলনগরে খোঁজ নিচ্ছি, এ নামে আর অন্য কোনো নেতা আছে কি না।‘
