দিনাজপুরে একটি বাসার শোবার ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ ও রান্নাঘর থেকে স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শহরের লিলিমোড় এলাকার একটি বাসায় দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারনা করা হচ্ছে।গতকাল ৬ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে পুলিশ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে।
রহস্যজনক ভাবে নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন ৬৫ বছর বয়সী মজিবর রহমান ও তার ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সুরাইয়া বেগম।তারা দিনাজপুর শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। নিহত মজিবর রহমান এর পিতার নাম রহিম উদ্দীন।মৃত সুরাইয়া বেগম ছিলেন মজিবর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে,যেই বাড়িতে তাদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে সেই বাড়ির মালিক অ্যাড. নিলুফার রহিম ঢাকায় বসবাস করেন।তিনি তার বাড়িটি দেখাশোনার জন্য মজিবর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। মজিবর দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সেই বাড়িতে স্ত্রী নিয়ে বাড়িটি দেখাশোনার পাশাপাশি বসবাস করে আসছিলেন।
গত ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পাশ্ববর্তী বাড়ি লুৎফুন্নেছা টাওয়ারের এক নৈশ প্রহরী পুরো বাসার বিদ্যুতের লাইন বন্ধ দেখতে পেয়ে ঢাকায় নিলুফার রহিমকে বিষয়টি অবগত করেন।পরে নিলুফার রহিমের নির্দেশে ওই নৈশ প্রহরী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পান। পরে ওই নৈশ প্রহরী জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারে পর্যটকবাহী জীপগাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ৭
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোমিনুল করিম আরও জানান,খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাড়িতে রান্না ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী ও শোয়ার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মজিবর রহমানের মরদেহ দেখতে পায়।পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা নিহত দুইজনের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর মূল কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।