দিনাজপুরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার পর মৃতদেহ ওয়ার্ডরোবে রেখে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন হত্যাকারী স্বামী।
গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। হত্যাকারী স্বামী গতকাল ভোরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করে ওয়ার্ডরোবে রেখে সারাদিন শেষে রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে তিনি স্ত্রীকে খুনের কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারী ওই ব্যক্তির নাম মনোয়ার হোসেন (৩৩) এবং হত্যার স্বীকার হওয়া হতভাগ্য তরুণীর নাম সুমাইয়া আক্তারকে (২৭)।
দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন; কামরাঙ্গীরচরে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
হত্যাকারী স্বামী মনোয়ার এর বরাত দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন,চলতি বছরের জানুয়ারিতে মনোয়ারের সঙ্গে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উজেলার সুজালপুরের কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। মনোয়ার দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ায় ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন এবং বিয়ের পর তার স্ত্রী সুমাইয়াও তার সঙ্গে এখানে থাকতেন। উল্লেখ্য সুমাইয়ার মনোয়ারের দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘাতক মনোয়ারের বাড়ি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলায়।
ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে অজ্ঞাত কারনে স্ত্রিকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ওয়ার্ডরোবে লুকিয়ে রাখেন। প্রায় ১৪ ঘণ্টা স্ত্রীকে হত্যা করে লুকিয়ে রাখার পর তিনি নিজে থানায় হাজির হয়ে এ হত্যার কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে সেই ওয়ার্ডরোব থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওসি তানভিরুল ইসলাম আরও জানান, মরদেহ রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে অন্যদিকে গ্রেফতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।